স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া:
চকরিয়ায় দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় বনকর্মকর্তার নেতৃত্বে অসহায় এক গৃহবধুকে মারধর করে বসতঘর ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। এসময় বসতভিটায় দুইবছর বয়সের শতাধিক গাছ ও কেটে গুডিয়ে দিয়েছে বনদস্যুরা। বরইতলী মোছন্যকাটা বনবিটের বিটকর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল ৭নভেম্বর সকাল ১১টায় মছুন্যাকাটা উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ছাবেকুন্নাহার (২২) নামের এক গৃহবধু গুরুতর আহত হয়েছে।
আহত গৃহবধু ছাবেকুন্নাহার জানায়, দিনমজুর স্বামী নাছির উদ্দিনকে নিয়ে ৪শিশু সন্তান সহ গত ২-৩ বছর ধরে মছুন্যাকাটা বনভুমিতে অন্যান্য পরিবারের মত সুখে বসবাস করে আসছিল। এমতাবস্থায় গত ছয়মাস ধরে পহরচাঁদা বনবিটের দালাল মুক্তার নামক কথিত দালাল বাড়িতে এসে বিট কর্মকর্তা সাইফুল পাঠিয়েছে দাবী করে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। একাধিকবার টাকা দাবী করে না পেয়ে গত একমাস ধরে ঘর ভেঙ্গে দেবার হুমকী দিয়ে আসছিল। দিনমজুর নাছিরের পক্ষে এত টাকা না থাকায় দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। দাবীকৃত টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বনবিটের বিট কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামে ও দালাল মোক্তারের নেতৃত্বে ১৫-২০জন সন্ত্রাসী গতকাল সকাল ১১টায় দা, হাতুড়ি নিয়ে এসে নাছিরের স্ত্রীকে মারধর করে বের করে বসতঘরটি কেটে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। যাওার সময় রোপিত ২শতাধিক রোপিত বনজ গাছ ও কেটে সাবাড় করে দেয়। এসময় ছাবেকুন্নাহার (২২) নামের গৃহবধু গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহত গৃহবধুকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, বনবিট কর্মকর্তা সাইফুলের নির্দেশে ঘরবাড়ী নির্মাণ সহ সামাজিক বনায়ন ও রিজার্ভের মাদার ট্রি গর্জন গাছ বিক্রি এবং বনভূমির দখল বিকিকিনি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে বনবিট কর্মকর্তা সাইফুলের সাথে আলাপ করলে তিনি ঘরভাঙ্গার বিষয়টি স্বীকার করলেও টাকা দাবী করার কথা অস্বীকার করেন। ##
পাঠকের মতামত: